Hot Posts

6/recent/ticker-posts

Antibiotics ও চিকিৎসা সম্বন্ধে কিছু মূল্যবান কথা এবং উপদেশ


এন্টিবায়োটিক,এন্টিবায়োটিক ঔষধ খাওয়ার নিয়ম,মীম ফার্মেসী,antibiotics,mimpharmacy,এন্টিবায়োটিক কেন ক্ষতিকর,সকল এন্টিবায়োটিক, অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার সঠিক নিয়ম,এন্টিবায়োটিক এর ক্ষতি,antibiotics,antibiotic,antibiotic resistance,beta lactam antibiotics,how antibiotics work,

 

antibiotics উপদেশ-


1. এন্টিবায়ােটিকের সঠিক ব্যবহার না জেনে অর্থাৎ কোন Antibiotic এ কোন কাজ হবে সে সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে Antibiotic ব্যবহার করা উচিত নয়।


২। কথায় কথায় ছােট খাট অসুখে ঔষধ খাওয়া কিংবা সহজে Antibiotic গ্রহণ করা অনুচিত। 


৩। রােগীর অসুস্থতা ও বয়সের উপর নির্ভর করে Antibiotic ব্যবহার করা শ্রেয়। 


৪। যতক্ষণ মুখে Antbiotic খাওয়া সম্ভব, ততক্ষণ মুখে ই খাওয়া উচিত। অনেক সময় দুর্বল এলার্জিক প্রতিক্রিয়ায় ছোট ফুসকুড়ি বা চুলকানি উঠতে পারে এবং তা কয়েক দিন পর্যন্ত থাকে। এন্টিহিষ্টামিনে এর উপশম হতে পারে


 ৫। একেবারে ঠেকে না গেলে Antibiotic ইনজেকশন ব্যবহার করা অনুচিত। কেননা এতে বিপদ ঘটতে পারে।


৬। সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া অবধি Antibiotic ব্যবহার বন্ধ করা ঠিক নয়। সংক্রমণের লক্ষণগুলাে কমে যাবার পরেও আরও ২ দিন Antibiotic ব্যবহার করতে হবে। 


৭। একাধিক্রমে ৫ থেকে ১০ দিনের বেশী Antibiotic ব্যবহার করা চলবে না।


৮। একাধিক্রমে ২/৩ প্রকার Antibiotic খাওয়া বা কাউকে এমন ব্যবস্থাপত্র দেওয়া উচিত নয়। রােগীর গুরুতর অবস্থায় একাধিক Antibiotic ব্যবহার করা যায় ঠিক, তবে এমন অবস্থায় অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করা ভাল।


৯। কোন Antibiotic ব্যবহারে শরীরে কোন Irruption দেখা দিলে অর্থাৎ চুলকানি, ফুসকুড়ি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দিবা মাত্র ঐ Antibiotic বাবহার বন্ধ করতে হবে। পরে নতুন করে আর ব্যবহার করবার চেষ্টা করা ঠিক নয়। কারণ দ্বিতীয় বারে প্রতিক্রিয়া আরও ভয়াবহ, এমনকি রােগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।


১০। পেনিসিলিন বা পেনিসিলিন জাতীয় (এমপিসিলিন ইনজেকশন নিবার পূর্বে রােগীর এলার্জি আছে কিনা বা এই ইনজেকশন ইতিপূর্বে কোন কষ্ট  হয়েছিল কি না তাহা জানা ভাল। যদি কোন কষ্টের কাথা বলে তবে ইনজেশন দেওয়া ঠিক নয়।


১১] পেনিসিলিন ইনজেকশন করার পূর্বে অবশ্যই রােগীর সেন্সিটিভিটি বা সংবেদনশীলতা পরীক্ষা করে নিতে হবে।


১২। পেনিসিলিন ইনজেকশন দিবার পূর্বে হাতের কাছে Inj. Adrenaline, Inj. Phenargan এবং কটিশন গ্রপের ইনজেকশন অবশ্যই বাখতে হবে। কারণ, পেনিসিলিন শকে ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে রােগী মারা যেতে পারে


১৩। যাদের পেনিসিলিনে এলার্জি হয় তাদের Erythramycin (খাবার সময় খাওয়া ভাল) বা অন্য কোন Antibiotic দিয়ে চিকিৎসা করা ভাল। 


১৪। গর্ভবতী মা কিংবা কম বয়সী শিশুর টেট্রাসাইক্লিন (Tetracycline) খাওয়া নিষেধ 


১৫। টেট্রাসাইক্লিন ইনজেকশন সহজে ব্যবহার করা ঠিক নয়, কারণ ইহা মুখে খাওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।


১৬। ক্লোরামফেনিকল কেবলমাত্র টাইফয়েড জ্বরেই ব্যবহার ফলপ্রসূ। এটা খুব ক্ষতিকর। সর্দি জ্বরে ভুলেও বাচ্চাদের জন্য ক্লোরামফেনিকল সিরাপ ব্যবহার করতে নেই।


১৭। Antibiotic ব্যবহারে রােগীর অবস্থার কোন উন্নতি  না হলে বুঝতে হবে রােগ চিনতে ভুল হয়েছে অথবা রােগের সুনির্দিষ্ট Antibiotic পড়েনি।


১৮। একই Antibiotic বার বার ব্যবহার করলে ঐ Antibiotic জীবাণুর বিরুদ্ধে রেসিস্ট্যান্স হয়ে পড়ে অর্থাৎ ঐ ঔষধ ঐ রােগজীবাণুর উপর কার্যকরী ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এক্ষেত্রে বিকল্প Antibiotic ব্যবহার করতে হবে।


১৯। রোগ সারানাে পূর্ণ জ্ঞান না থাকলে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন বা নিতে বলুন।


 ২০। নিজের সুনাম রক্ষার জন্য রােগীকে অযথা ঔষধ দিয়ে হয়রানি না করে প্রথমেই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নিকট যেতে পরামর্শ দিন


২১। তারিখ পার হয়ে যাওয়া পর ঐ ঔষধ কখনও ব্যবহার করতে নেই। 


২২। অযথা ভিটামিন ঔষধ বা ভিটামিন ইনজেকশন না দিয়ে তরল ও পুষ্টিকর খাদ্য দিন। ভিটামিনের চেয়ে পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া বহুগুণে উত্তম।


 ২৩। বিশ্বস্ত ও নির্ভরশীল দোকান ছাড়া ঔষধ ক্রয় করা ঠিক নয়।


২৪। শাক-সবজি বেশী করে খাওয়া ভাল।


২৫। জীবন রক্ষার কাজে Antibiotic ব্যবহার হলে ও Antibiotic এর অযথা ব্যবহার কমিয়ে ফেলতে হবে।


২৬। সিরাম ইনজেকশন দিবার পূর্বে অবশ্যই Sin Test করা উচিত। Skin Test না করে সিরাম ইনজেকশন কখনও দিতে নেই। 


২৭। যে রােগীর রােগ বুঝতে বা চিনতে পারছেন না, তাকে তৎক্ষণাৎ অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হবার পরামর্শ দিন।


২৮। নকল ঔষধ থেকে সজাগ থাকুন।


২৯। হার্ট-ডিজিজ রােগীকে হৃদ-রােগ বিশেষজ্ঞের নিকট রেফার করা উচিত।


৩০। চক্ষু /কিডনী/মানসিক বা যে রােগ সম্পর্কে আপনার পরিপূর্ণ জ্ঞান নেই, সে ক্ষেত্রে ঐ ধরনের বিশেষজ্ঞের নিকট রেফার করুন।


 ৩১। ঔষধ মাত্রা (ডোজ) নির্ধারণ করতে না পারলে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


৩২। পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসায় অগ্রসর হওয়া, সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছাতে দ্রুত সাহায্য করে।


৩৩। পারতপক্ষে ভেইনে ইনজেকশন করা এড়িয়ে চলুন। 


৩৪। দুর্বল রােগীকে কোনক্রমেই Imferon,  Emetine Hydrochloride জাতীয় ইনজেকশন দেওয়া ঠিক নয়।


৩৫। হেপাটাইটিজ বা লিভারে আক্রান্ত বা জন্ডিসে আক্রান্ত রােগীর ব্যবস্থাপত্র চিন্তা-ভাবনা করে দিবেন। যেমনঃ এই রােগে Tab, Largacti সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।


 ৩৬। মনে রাখবেন গর্ভবতী মাকে Co-trimoxazole বা Quinine বা Metronidazole অথবা, Levamisole জাতীয় ঔষধ দেয়া যাবে না।


 ৩৭। যতটুকু সম্ভব ঔষধ এড়িযে চলা ভাল।

Post Navi

Post a Comment

0 Comments