Hot Posts

6/recent/ticker-posts

কি ভাবে ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করবেন। START PHARMACY BUSINESS

 

how to start pharmacy business in bangladesh,pharmacy business in bangladesh,pharmacy business,ফার্মেসী ব্যবসা,ফার্মেসি ব্যবসা,pharmacy business ideas,medicine business,pharmacy,start my own business,স্বপ্ল পুঁজিতে ফার্মেসী ব্যবসা,ফার্মেসি,বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল,ফার্মেসী কাউন্সিল,ঢাকা ফার্মেসি ট্রেনিং সেন্টার
 কি ভাবে ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করবেনঃ

প্রতিষ্ঠিত ও সম্মানজনক ব্যবসার মধ্যে ফার্মেসি ব্যবসা অন্যতম। এখানে কম পুঁজি বিনিয়োগ করে সহজেই লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ইচ্ছা করলেই যে কেউ ফার্মেসী ব্যবসা শুরু করতে পারবে না। একটা দোকানে কিছু ওষুধ নিয়ে বসে পড়া বেশ সহজ, কিন্তু প্রক্রিয়াটা অবৈধ। এ জন্য আপনাকে অবশ্যই ব্যবসার অন্যান্য আনুসাঙ্গিক প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে আরো অতিরিক্ত করতে হবে ফার্মেসীস্টের ট্রেনিং এবং ড্রাগ লাইসেন্স। ওষুধ তিনিই বিক্রি করতে পারবে যার ফার্মেসীস্ট ট্রেনিং আছে এবং যিনি ড্রাগ লাইসেন্স পেয়েছেন।

ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া ওষুধের ব্যবসা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং আইনগত ভাবে এটি একটি দন্ডনীয় অপরাধ। আর ওষুধ ব্যবসার জন্যে অতি প্রয়োজনীয় এই ড্রাগ লাইসেন্সটি ইস্যু করে বাংলাদেশ সরকারের 'ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর'। ড্রাগ লাইসেন্সটি অর্জন করতে হলে 'বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল' থেকে আপনাকে তিন মাসের একটি ফার্মেসীষ্ট ট্রেনিং কোর্স (সি ক্যাটাগরীর ফার্মেসীস্ট হিসেবে রেজিঃ পাওয়ার জন্য) সম্পন্ন করতে হবে। ফার্মেসী কোর্স করতে চাইলে আপনাকে বাংলাদেশ কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে, যখন ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় তখন ভর্তি হতে হবে।


ফার্মেসি বা ওষুধের ব্যবসা মূলতঃ দুইরকম, ওষুধের খুচরো ব্যবসা ও পাইকারি ব্যবসা। দুইধরনের ব্যবসার ক্ষেত্রেই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়, নিতে হয় প্রয়োজনীয় লাইসেন্স। আজ আমরা আলোচনা করব ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ধাপগুলো কী কী।

প্রয়োজনীয় কোর্স
তিনটি ক্যাটাগরিতে ড্রাগ লাইসেন্সের রেজিস্ট্রেশন হয়ে থাকে। গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টরা ‘এ’ ক্যাটাগরির, ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টরা ‘বি’ ক্যাটাগরির ও শর্ট কোর্স সম্পন্নকারীরা ‘সি’ ক্যাটাগরির লাইসেন্স পেয়ে থাকেন। ‘বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল’ থেকে ‘সি’ ক্যাটাগরির ফার্মাসিস্ট হিসেবে ড্রাগ লাইসেন্স অর্জন করতে হলে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির তত্ত্বাবধানে দুই মাসের ট্রেনিং কোর্স সম্পন্ন করতে হবে। এর জন্য বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে। বাংলাদেশের সব জেলায় কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির আওতায় দুই মাসের শর্ট কোর্সটি করানো হয়। এ সমিতির প্রধান কার্যালয় ঢাকার মিটফোর্ডে। এসএসসি পাস করে যে কেউ এ কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। সর্বমোট ৪০টি ক্লাস করানো হয়। ক্লাস শেষে ২ ঘণ্টার একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। যখন ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় তখন ভর্তি হতে হবে। কোর্স ফি ১ হাজার ৭৫০ টাকা। ভর্তিসংক্রান্ত তথ্য অফিস থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন। সাধারণত ক্লাস হয় প্রতি শুক্রবার।

ড্রাগ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে যা প্রয়োজন
১. ট্রেড লাইসেন্স
২. টিআইএন সনদপত্রের ফটোকপি
৩. পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৪. ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ব্যাংক সচ্ছলতার সনদপত্র
৫. দোকান ভাড়ার রসিদ/চুক্তিপত্র (নিজস্ব দোকানের ক্ষেত্রে দলিলের সত্যায়িত ফটোকপি)
৬. স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত ফার্মেসি বিষয়ে সম্মান শ্রেণি পাসের সনদ অথবা প্যারামেডিক্যাল থেকে ডিপ্লোমা পাসের সনদ কিংবা ফার্মাসিস্ট ফাউন্ডেশন কোর্সের সনদপত্রের ফটোকপি
৭. নাগরিকত্বের সনদপত্র/জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
৮. ফার্মাসিস্টের অঙ্গীকারপত্র [ফরম নম্বর-৭] (যথাযথভাবে পূরণকৃত)
৯. ১ হাজার ৫০০ টাকার ট্রেজারি চালান।

যোগাযোগের ঠিকানা
http://www.dgda.gov.bd

পুঁজি


ভালো আয়ের পথ হতে পারে ফার্মেসির দোকান। পাড়া-মহল্লা, হাসপাতালের পাশে দেওয়া যেতে পারে ওষুধের দোকান। দোকানের আয়তন অনুযায়ী আসবাব ও ওষুধ কেনার জন্য বেশ মোটা অঙ্কের পুঁজি দরকার। সেটা ২ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে। যদি নিজের কাছে প্রয়োজনীয় পুঁজি না থাকে তবে পরিবারের কারো কাছে থেকে কিংবা আত্মীয়স্বজন, সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (এনজিও) থেকে স্বল্পসুদে ঋণ নেওয়া যেতে পারে।

দোকানের সামগ্রী


দোকানে ওষুধ রাখার জন্য মজবুত তাক বানাতে হবে। তাৎক্ষণিক সেবা দেওয়ার জন্য নানা পরীক্ষণ যন্ত্র কেনা প্রয়োজন। থার্মোমিটার (তাপমাত্রা মাপক যন্ত্র), স্টেথিসস্কোপ (হৃদস্পন্দন মাপক যন্ত্র) ও স্ফিগমোম্যানোমিটার (রক্তচাপ মাপক যন্ত্র) রাখতে হবে। দরদাম আকার অনুযায়ী ওষুধের তাক বানাতে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ পড়বে। স্বয়ংক্রিয় থার্মোমিটারের দাম পড়বে ৪০ থেকে ১০০ টাকা। স্টেথিস্কোপ ও স্ফিগমোম্যানোমিটার দুটি একসঙ্গে এবং আলাদাভাবে কিনতে পাওয়া যায়। একসঙ্গে সাধারণ যন্ত্রটির দাম পড়বে ১ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার টাকা। স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রটি পাওয়া যাবে ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৪ হাজার টাকার মধ্যে। আলাদাভাবে কিনতে গেলে প্রতিটি স্টেথিস্কোপের দাম পড়বে ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা আর স্ফিগমোম্যানোমিটারের দাম পড়বে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা। বাংলাদেশে থাইল্যান্ড, চীন ও জাপানের তৈরি এসব পরিমাপক যন্ত্র পাওয়া যায়। তবে জাপানের তৈরি যন্ত্রই ভালো।

খেয়াল রাখতে হবে
ব্যাংকঋণের জন্য লাইসেন্স থাকা জরুরি। বৈধভাবে ওষুধ বিক্রি ও বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সদস্য হওয়ার জন্যও লাইসেন্সের দরকার। ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি বৈধ কিনা, তা যাচাই করতে হবে। ওষুধ কেনা ও বিক্রির সময় অবশ্যই এর মেয়াদ আছে কিনা দেখে নেবেন। নকল ওষুধ থেকে দূরে থাকবেন। নকল ওষুধ সম্পর্কে অন্যকে সচেতন করতে ড্রাগিস্ট সমিতির সহযোগিতা নিতে পারেন। ওষুধ সংরক্ষণ পদ্ধতি ভালোভাবে জানতে হবে। তা ছাড়া অনেক ওষুধ রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ না করলে নষ্ট হয়ে যায়; এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। একই ক্যাটাগরির বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ একসঙ্গে রাখলে খুঁজে পেতে সুবিধা হবে। শুধু ওষুধের নাম জানলেই হবে না, ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কেও ধারণা রাখবেন। রোগীরা চাইলেও অনুমানে কোনো ওষুধ বিক্রি করা ঠিক হবে না।

আয়
কোম্পানিভেদে বিক্রির ওপর ১২ থেকে ১৩ পার্সেন্ট লাভ থাকে। শুরুর দিকে ২ লাখ টাকা পুঁজিতে মাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লাভ করা যায়। পুঁজি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে লাভের পরিমাণও।

বিস্তারিত ভিডিও তে আলোচনা করা হয়েছে।


Post Navi

Post a Comment

0 Comments