তাকে নিয়ম মেনে ঔষুধ রাখুন ।।EXPIRE হবেনা-
আপনি যদি একজন ফার্মেসী দোকানদার হন বা ফার্মেসী দোকান দেবেন ভাবতেছেন।ঔষধ এক্সপায়ার হয়ে যাবার একটা বিষয় আপনার কাজ করে।যদি ও অনেক ঔষধ কোম্পানি ঐ ঔষধ ফেরত নেয়। তারপর ও আপনি তাক থেকে ঔষধ নামিয়ে কাস্টমার দিলেন, ব্যস্ততার জন্য দেখতে পেলেন না মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ। পরে কাস্টমার দেখতে পেল ঔষধের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে অনেক আগে।তখন আপনার ও আপনার দোকান সম্পর্কে কাস্টমারের কেমন ধারণা হবে।আপনি একটু ভাবুন।সরকারি লোক এসে যদি ফার্মেসী চেক দেয়,মেয়াদবিহীন ঔষধ পায়, তাহলে কত জরিমানা হবে আরো একটু ভাবুন।
ফার্মেসী ব্যবসা যেমন প্রতিষ্ঠিত ও সম্মানজনক ব্যবসা, ঠিক তেমনই আপনার একটু অসাবধানতার কারণে হয়ে যেতে পারেন সব্যশান্ত।ইউটিউবে ফার্মেসী ব্যবসার জয়গান শুনে ব্যবসা শুরু করা উচিত নয়।এমন অনেক কে দেখেছি ফার্মেসী ব্যবসা দিয়ে টিকে থাকতে পারে নাই।আবার অনেকে হয়েছে অনেক টাকার মালিক। ব্যবসা শুরু করার আগে সব কিছু বিস্তারিত জেনে শুরু করা ভাল।আজকে আলোচনা করব সফল ঔষধ ব্যবসায়িরা কি ভাবে ঔষধের এক্সপায়ার দেখে ও জমে যাওয়া ঔষধ বিক্রি করে।
কোন ঔষধ কোন মাসে এক্সপায়ার হবে তা দোকানের সকলকে জানতে হবে।একজন ভুলে গেলেও আরেকজন বের করতে পারবে।
ঔষধ তাকে রাখার আগে যদি একটি আলাদা খাতায় বা অন্য কোথাও লিখে রাখা উচিত।
প্রথমে ঔষধের নাম, এক্সপায়ার ডেইড
যেমন-sonap ট্যাবলেট,২৭-০৪-২১
2 box
আপনি যদি এভাবে লিখে রাখেন
মার্চ মাসে বা আপনার সময় মতো দেখতে চাচ্ছেন এপ্রিল মাসে কোন কোন কোম্পানির ঔষধের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
আপনি খাতা খুলে সহজে বের করতে পারবেন।
দোকানে অনেক ঔষধ থাকে ঝামেলা মনে হতে পারে। আস্তে আস্তে চেষ্টা করলে সব লিখা হয়ে যাবে।
দুই তিন বছর মেয়াদ থাকলে লিখার দরকার নাই। প্রত্যক running বছরের ঔষধ গুলো লিখে রাখতে পারেন।
অনেক হয়তো বলবেন ভাই এটা ছাড়া হাজার হাজার দোকান চলতেছে। অনেকের তো সমস্যা হচ্ছে না।
অনেকের হচ্ছে না ঠিক আছে, আমরা তো প্রায় সময় টিভি তে নিউজ দেখি।
মেয়াদবিহীন ঔষধ পাওয়ায় জেল জরিমানা।
আপনার অসাবধানতার কারনে আপনার ক্ষেত্রে হতে পারে এমন কিছু।
তাইতো অনেক বলে সাবধানের মার নাই।
এখন আপনার সিদ্ধান্ত এক্সপায়ার লিখে রাখতে পারেন, বা লিখে না ও রাখতে পারেন। কথা হচ্ছে ঔষধ যেন এক্সপায়ার হয়ে তাকে না তাকে। সেদিকে সবার সজাগ দৃষ্টি রাখতে পারে। ঔষধ যেমন জিবন বাচাতে ব্যবহার হয়,ঠিক মেয়াদবিহীন ঔষধ বিষ হয়ে জিবন কেরেও নিতে পারে।
বিদেশের ফার্মেসীগুলো এক্সপায়ার ঔষধ খুজে পেতে কয়েকটি প্রদ্বতি ব্যবহার করে।
যেমন
১/ ঔষধের নাম,তারিখ, সাল দিয়ে এক্সপায়ার লিখে রাখে। যেমনটা প্রথম আলোচনা করা হয়েছে।
২/বাহিরের দেশের ফার্মেসীগুলো তে এক ঔষধের উপর আরেক ঔষধ এলোমেলো করে রাখে না। তারা কম মেয়াদের ঔষধ গুলো সামনে রাখে।বেশি মেয়াদের ঔষধ গুলো পিছনে রাখে। তারা তাকের সামনে ও সংকেত দিয়ে ছোট করে ঔষধের মেয়াদের তারিখ লিখে রাখে। কোন ঔষধের মেয়াদ কোন সময় শেষ হচ্ছে তা সহজে দেখতে পাচ্ছে।
৩/তাছাড়া ও কিছু ফার্মেসীতে কম্পিউটার ব্যবহার করে এক্স্পায়র ঔষধ খুঁজে পেতে ।অনেক টা খাতায় লিখে রাখার মত।বেতিকম হচ্ছে কম্পিউটার নিদিষ্ট সময় শেষে লিখে রাখা ঔষধ গুলো একটা নিদিষ্ট রং নিয়ে বেশে উঠবে।যাতে করে সহজে বুঝতে পারে কোন কোন ঔষধের মেয়াদ শেষ।
এগুলো ছাড়া অনেকের হয়তো আরো অনেক সুন্দর আইডিয়া আছে। কমেন্ট করে শেয়ার করতে পারেন সবার সাথে।
নতুনরা আইডিয়া নিতে পারেন,পুরোনো বিস্তৃত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। যুক্ত করতে পারেন নিজের কিছু আইডিয়া।
অনেক ঔষধ আছে অনেক দিন হলো বিক্রি করতে পারতেছেন না, মেয়াদ ও আছে। বা কম চলে, আপনি না বুঝে কিনে ফেলেছেন।
এই অবস্থায় আপনি চেষ্টা করতে পারেন যাদের কাছ থেকে ঔষধ নিয়েছেন, তাদের কাছে ফেরত দিয়ে অন্য ঔষধ নেওয়া যায় কিনা
অনেক ঔষধ কোম্পানি তাদের এক্সপায়ার হয়ে যাওয়া ঔষধ ফেরত নেয়
দী
র্ঘ সময় তাকে ঔষধ তাকলে কোন লাভ হচ্ছে না।
আপনার চেষ্টা করা উচিত যে ঔষধ গুলো বেশি জমে আছে , সে গুলো বিক্রি ব্যবস্থা করা
বিদেশের ফার্মেসী গুলো এই পরিস্থিতিতে তাদের অন্য ফার্মেসীগুলো তে যোগাযোগ করে ঐ ঔষধ শেয়ার করে কমিয়ে ফেলে।
আপনি ও চেষ্টা করলে ভালো আইডিয়া বের করতে পারেন।
ব্যবসা করলে ঔষধ সহ সকল পোডাক্ট এক্সপায়ার হবে।খেয়াল রাখতে হবে এক্সপায়ার যেন বেশি না হয়, আর তাকে যেন না পরে থাকে।
আমিও চেষ্টা করেছি আমার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করতে।
পুরাতন ঔষধ ব্যবসায়ী সহ আপনাদের কাছে যদি ভালো কোন আইডিয়া থাকে কমেন্ট করে জানিয়েন দেন আমাদের সকল কে।
আজকের মত বিদায় নিচ্ছি ভালো থাকবেন সবাই,
আল্লাহ হাফেজ।
0 Comments