Hot Posts

6/recent/ticker-posts

ইউরিন ইনফেকশন Urine Infection বা প্রস্রাবের সংক্রমণ

 

ইউরিন ইনফেকশন কী?

আমাদের শরীর থেকে বর্জ্য ও অতিরিক্ত পানি প্রস্রাব হিসেবে বেরিয়ে যায়। প্রস্রাব বেরিয়ে যাওয়ার এই ব্যবস্থার সাথে সম্পর্কিত অঙ্গগুলো নিয়ে আমাদের মূত্রতন্ত্র গঠিত। 

মুত্রতন্ত্রের যেকোনো অংশে যদি জীবাণুর সংক্রমণ হয় তাহলে সেটাকে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন বলা হয়। কিডনি, মূত্রনালি একাধিক অংশে একসঙ্গে এই ধরণের ইনফেকশন হতে পারে। এই ইনফেকশনকেই সংক্ষেপে ইউরিন ইনফেকশন বলা হয়।

ডাক্তারি ভাষায় একে ‘ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন’ বা ‘ইউটিআই’ বলা হয়।


ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণসমূহঃ


প্রস্রাবে বাজে গন্ধ।


প্রস্রাবের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হারাতেও পারেন।


কখনো কখনো প্রস্রাবের সাথে রক্ত পড়তে পারে।


বমি ভাব বা বমি হওয়া।

প্স্রাব গাঢ় হলুদ বা লালচে হওয়া।

তলপেটে বা পিঠে তীব্র ব্যথা।

একটু পর পর প্রস্রাব লাগা কিন্তু ঠিক মতো না হওয়া।


প্রস্রাব করার সময় জ্বালা পোড়া বা ব্যথা করা।


সারাক্ষণ জ্বর জ্বর ভাব অথবা কাঁপুনি দিয়ে ঘন ঘন জ্বর হওয়া।


শরীরের ওজন কমে যাওয়া।

কোমরের পেছনে পাঁজরের ঠিক নিচের অংশে ব্যথা হওয়া 

শরীরের তাপমাত্রা ৩৬° সেলসিয়াস বা ৯৬.৮° ফারেনহাইট এর চেয়ে কমে যাওয়া

ইউরিন ইনফেকশনের কারণ

সাধারণত পায়খানায় থাকা বিভিন্ন জীবাণু মূত্রতন্ত্রে প্রবেশ করে ইউরিন ইনফেকশন ঘটায়। প্রস্রাবের রাস্তা বা মূত্রনালী দিয়ে এসব জীবাণু মূত্রতন্ত্রে প্রবেশ করে।

নারী-পুরুষভেদে সবারই প্রস্রাবের ইনফেকশন হতে পারে। তবে নারীদের মধ্যে এই রোগের সংক্ৰমণ হওয়ার প্রবণতা বেশি। এর কারণ হলো, নারীদের মূত্রনালী পুরুষদের মূত্রনালীর তুলনায় দৈর্ঘ্যে অনেক ছোটো।

এ ছাড়া নারীদের মূত্রনালী পায়ুপথের খুব কাছাকাছি অবস্থিত। ফলে ব্যাকটেরিয়া পায়ুপথ থেকে মূত্রনালীতে প্রবেশ করে প্রস্রাবের সংক্ৰমণ ঘটানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

যেসব কারণে ইউরিন ইনফেকশনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়—

  • পর্যাপ্ত পানি পান না করলে
  • মূত্রতন্ত্রের স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে এমন রোগ হলে। যেমন: কিডনিতে পাথর হওয়া
  • যৌনাঙ্গ পরিষ্কার ও শুকনো না রাখলে
  • যেকোনো কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে। যেমন—
    • টাইপ ২ ডায়াবেটিস অথবা এইচআইভি আক্রান্ত হলে
    • কেমোথেরাপি অথবা দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ সেবনকালে
  • গর্ভবতী হলে
  • মূত্রথলি পুরোপুরি খালি করতে বাধা সৃষ্টি করে এমন রোগ হলে। যেমন: পুরুষদের ‘প্রস্টেট গ্রন্থি’ বড় হয়ে যাওয়া, শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা স্নায়ুতন্ত্রের কোনো অসুখ
  • মাসিক চিরতরে বন্ধ হয়ে গেলে। এই ঘটনাকে ‘মেনোপজ’ বলা হয়। এক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন নামক হরমোন কমে যাওয়ায় সংক্ৰমণ প্রবণতা বেড়ে যায়
  • যৌন সহবাস করলে
  • প্রস্রাবের রাস্তায় নল বা ক্যাথেটার পরানো থাকলে
  • ইতঃপূর্বে প্রস্রাবের ইনফেকশন হয়ে থাকলে


রুগী থেকে হিস্ট্রি এবং রোগ নির্ণয়ঃ


Urine for R/E টেস্ট করাতে হবে সাথে ডায়বেটিস ও পরিক্ষা করে নিতে হবে RBS


দিনে কত বার প্রস্রাব হয় সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

ইউরিন ইনফেকশনের চিকিৎসা

ট্রিটমেন্টঃ


1. Tab. Furoclav 500mg ১+০+১-১৪ দিন)


2. Tab. Ridon 10mg ১+১+১-৩০ দিন


3. Tab. Renova XR


যখন জ্বর ১০০ এর বেশি আসবে তখন ১ টি।


4. Tab. Maxpro 20mg


১+০+১--১৪ দিন)


পরামর্শঃ

উরিন ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা দিলে সেগুলো উপেক্ষা না করে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তার প্রস্রাব পরীক্ষা করানোর পাশাপাশি প্রয়োজনবোধে উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ দিতে পারেন।

অ্যান্টিবায়োটিকের সম্পূর্ণ কোর্স শেষ করা গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষণগুলো কমে আসতে শুরু করলেও প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধের কোর্স সম্পন্ন করতে হবে।


সাধারণত ঔষধ খাওয়া শুরু করার দুই-তিন দিনের মধ্যে লক্ষণগুলো কমতে শুরু করে। যদি ঔষধের কোর্স সম্পন্ন করার পরেও লক্ষণের উন্নতি না হয় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।


প্রস্রাব আটকে রাখা যাবে না।


যৌন মিলনের আগে ও পরে ভালো ভাবে জিবানু মুক্ত করুন।


ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গ্রহন করুন। প্রচুর পানি পান করুন


বেশি বেশি শসা খেতে পারেন।


গরম সেঁক নিন এতে খুব দ্রুত প্রস্রাবের জ্বালা পোরা ও ব্যথা দূর


হবে।


আরামদায়ক পোশাক পড়তে হবে।

Post Navi

Post a Comment

0 Comments