Hot Posts

6/recent/ticker-posts

Constipation কি? Constipation এর কারন, লক্ষন ও Treatment ।

 Constipation কি? Constipation এর কারন, লক্ষন ও Treatment ।


Constipation : সপ্তাহে তিন বারের কম পায়খানা হলে তাকে কোষ্ঠ কাঠিন্য বলে।


পায়খানা কষা বা শক্ত হওয়াকেই মূলত কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। এটি খুব পরিচিত একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। অনেকেরই মাঝে মাঝে পায়খানা খুব শক্ত হয়ে যায়, মলত্যাগের সময় অনেকক্ষণ কসরত করতে হয়। এ ছাড়া পায়খানার পর মনে হয় পেট ঠিকমতো পরিষ্কার হয়নি।


কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পায়খানা শক্ত হয়, যার কারণে অনেকে মলত্যাগের সময় ব্যথা অনুভব করেন। কারও কারও ক্ষেত্রে একটানা তিন–চারদিন পায়খানা নাও হতে পারে। এগুলো সবই সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ। দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পাইলস বা অর্শ রোগ কিংবা এনাল ফিসার বা গেজ রোগ এর মতো পায়ুপথের রোগ তৈরি হতে পারে।


Constipation-এর কারণ সমূহ:


(1) Hyper acidity


(2) পানি কম খাওয়ার অভ্যাস।


(3) সময়মত পায়খানা না করার অভ্যাস।


(4) Intestine-এর Motility কমে যাওয়া।


(5) Drug-এর side effect


Constipation-এর লক্ষন সমূহ:


(1) সপ্তাহে তিন বারের কম পায়খানা হওয়া।


 (2) পায়খানা শক্ত হওয়া।


(3) Lower abdomen (Rectum) শক্ত হওয়া।


Treatment of Constipation:


(1) Cap. Omeprazole-20mg


প্রতিদিন খালী পেটে ১টি ।


(২ মাস) 


(2) Tab. Domperidone 1+1+1(১মাস)


(3) Milk of Magnesia/Lactulose ২ চামচ করে দিনে ২বার।

(4) Tab. Alprazolam প্রতিরাতে শোয়ার সময় ১টি। (১০ দিন)


কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়? 

নানাবিধ কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কমন ও গুরুত্বপূর্ণ ৬টি কারণ হলো—


খাবারের তালিকায় যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ না থাকা 

পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা

শুয়ে-বসে থাকা ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব

পায়খানার বেগ আসলে তা চেপে রাখা

মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্ণতা 

ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া


কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কীভাবে ফাইবার যোগ করবেন? জেনে নিন আমাদের সহজ ৫টি টিপস—


১. ভাত বা রুটি খাওয়ার ক্ষেত্রে লাল চাল ও লাল আটা ব্যবহার করতে পারেন। এগুলোতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে।


২. প্রতিবেলার খাবারে ডাল রাখতে পারেন। ডালে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার থাকে।


৩. প্রতিবেলার খাবারে কয়েক ধরনের বা সম্ভব না হলে কমপক্ষে এক ধরনের সবজি রাখতে হবে।


৪. যেসব ফল বা সবজি খোসাসহ খাওয়া যায় সেগুলো খোসা না ফেলে খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ খোসায় উচ্চ পরিমাণে ফাইবার থাকে। টমেটো, আপেল ও আলুর মতো খাবারগুলো খোসাসহ খেতে পারেন। তবে খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোমতো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে।


৫. যেকোনো ফল বা সবজি গোটা বা আস্ত খেলে ভালো ফাইবার পাওয়া যায়। জুস বা ভর্তা বানিয়ে খেলে আঁশের পরিমাণ কমে যায়।


কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে? 

নিচের ৯টি অবস্থায় দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন—


ঘরোয়া উপায়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধান না হলে

দীর্ঘদিন যাবত নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভোগা বা পেট ফাঁপা লাগলে

অনেকদিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকার পর ডায়রিয়া শুরু হলে

পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া বা আলকাতরার মতো কালো পায়খানা হলে

পায়খানার রাস্তায় ব্যথা হলে

কোষ্ঠকাঠিন্যের সাথে পেট ব্যথা বা জ্বর আসলে

সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগলে

কোনো কারণ বা চেষ্টা ছাড়াই ওজন অনেক কমে গেলে কিংবা শুকিয়ে গেলে

রক্তশূন্যতায় ভুগলে

দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কী কী সমস্যা হয়?

অনেকদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে ‘ফিকাল ইম্প্যাকশান’ হতে পারে। এর অর্থ আপনার মলদ্বারে পায়খানা জমা হয়ে আটকে থাকতে পারে। ফিকাল ইম্প্যাকশান এর প্রধান লক্ষণ হচ্ছে অনেকদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকার পরে ডায়রিয়া হওয়া।


এমনটা হলে চিকিৎসার জন্য সাধারণত নিচের চারটি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়—


জোলাপ: ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শক্তিশালী ল্যাক্সেটিভ বা জোলাপ সেবনের পরামর্শ দেয়া হয়।

সাপোজিটোরি: মলদ্বার দিয়ে পিচ্ছিলকারী ঔষধ দেওয়া হয়, যাতে পায়খানা নরম হয়ে বেরিয়ে আসে।

মিনি এনেমা: মলদ্বার দিয়ে তরল ঔষধ প্রবেশ করানো হয়, যাতে পায়খানা বেরিয়ে আসে।

কিছু ক্ষেত্রে সরাসরি বা যন্ত্রপাতির সাহায্যে মলদ্বার থেকে পায়খানা অপসারণ করা হয়।

Post Navi

Post a Comment

0 Comments