Hot Posts

6/recent/ticker-posts

মাসিকের ব্যথা বা ডিসমেনোরিয়া_ Dysmenorrhea কারন লক্ষন ও চিকিৎসা

 কোনো কারণ ছাড়াই ঋতুস্রাবকালীন ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া কিছু রোগের কারণে ঋতুস্রাব হতে পারে ব্যথাযুক্ত। একে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ডিসমেনোরিয়া। ডিসমেনোরিয়া" হল বেদনাদায়ক মাসিকের চিকিৎসা শব্দ। এটা ঘটছে কারণ আপনার জরায়ু তার আস্তরণ ছিঁড়তে সঙ্কুচিত হয়। ব্যথা সাধারণত আপনার পিরিয়ডের ঠিক আগে শুরু হয় এবং কয়েকদিন পরে কমে যায়। প্রাথমিক dysmenorrhea কোন শনাক্তযোগ্য কারণ ছাড়াই বারবার ব্যথা বোঝায়। এন্ডোমেট্রিওসিসের মতো অবস্থার ফলে সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়া হয়।


পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যুক্তরাজ্যের ৫০ ভাগ মেয়ের এ সমস্যায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হয়। শুধু এ সমস্যার জন্য প্রায় ৭০ ভাগ মেয়েকে ব্যথার ওষুধ সেবন করতে হয়। আমাদের দেশের মেয়েদের মধ্যে ডিসমেনোরিয়ার হার অনেক বেশি।


ডিম্বাণু নিষিক্ত না হলে অনিষিক্ত ডিম্বাণু ও জরায়ুর ভেতরের স্তর ঋতুস্রাবের সময় জরায়ুর সংকোচনের মাধ্যমে দেহের বাইরে চলে আসে। এ সংকোচনের ফলে জরায়ুর রক্তনালিগুলোও সংকোচিত হয়। জরায়ুর কোষগুলো অক্সিজেনের অভাবে মারা যায়। এই সময় জরায়ু থেকে কিছু কিছু কেমিক্যাল নিঃসৃত হয়। এগুলো ব্যথার জন্য দায়ী। আবার সংকোচন বাড়ানোর জন্য দেহ প্রোস্টাগ্লান্ডিন নিঃসরণ করে। এটিও ব্যথা বাড়ায়। এটি কিন্তু স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তাই মাসিকের সময় ব্যথা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ব্যথা চরম আকার ধারণ করে।


ডিসমেনোরিয়া বা মাসিককালীন ব্যথা দুই প্রকার। প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি। প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়াতে জরায়ুতে কোনো রোগ থাকে না। মাসিক শুরু হওয়ার সাথে সাথে ব্যথা শুরু হয়। দুই থেকে তিনদিন ব্যথা থাকে। বেশির ভাগ মেয়েই এ ধরনের ব্যথায় ভোগেন। জীবনের প্রথম মাসিকের সময় থেকেই এ ব্যথা শুরু হয়। সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়া সাধারণত সন্তান জন্মদানের পর মেয়েদের প্রজননতন্ত্রে ইনফেকশনের কারণে দেখা যায়। এ ছাড়া ফাইব্রয়েড,এন্ডোমেট্রিওসিস,এডেনোমায়োসিসও হতে পারে সেকেন্ডারি ঋতুস্রাবকালীন ব্যথা। এ ক্ষেত্রে ঋতুস্রাবের আগে ও পরে ঋতুস্রাবের সময়জুড়ে ব্যথা থাকে। মাসিকের পর ধীরে ধীরে ব্যথা কমতে থাকে।


সাধারণত প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়ায় আক্রান্তদের তেমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে না। সেকেন্ডারিতে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় করার জন্য হাই ভ্যাজাইনাল সোয়াব সিএস, সারভাইক্যাল সোয়াব, ইউরিন কালচার, আলট্রাসনোগ্রামের প্রয়োজন পড়ে।


চিকিৎসা


প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়া নিয়ে দুচিন্তার কিছু নেই। এতে সন্তান ধারণের কোনো সমস্যা হয় না। সন্তান ধারণ করলে এ ব্যথা আপনা-আপনি ভালো হয়ে যায়। যারা এখনো ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত তারা প্রতি ঋতুচক্রে ব্যথা হলে ব্যথানাশক এনএসআইডি যেমন আইবুপ্রোফেন সেবন করলে ভালো ফল পাবেন। এ ছাড়া তিন থেকে চার সাইকেল ওরাল কন্ট্রাসেপটিভ বা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল সেবন করে এ সমস্যা মুক্ত হওয়া সম্ভব। ওজন বেশি থাকলে তা কমাতে হবে। প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে। ধূমপান বা মদপানের অভ্যাস থাকলে তা পরিত্যাগ করতে হবে। সেকেন্ডারি ক্ষেত্রে কোন কারণে মাসিকের সময় ব্যথা হচ্ছে তা সঠিকভাবে নির্ণয় করতে হবে। কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে। 


ঔষধ ছাড়া ব্যথা কমাতে যা করতে পারেন 


যখন আপনার ব্যথা হয় তখন আপনার পিঠে বা পেটে হিটিং প্যাড বা গরম পানির বোতল ব্যবহার করুন।

অতিরিক্ত বিশ্রাম  করুন।

ক্যাফেইন আছে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন।

সিগারেট খাওয়া এবং অ্যালকোহল পান করা থেকে বিরত থাকা।

আপনার নীচের পিঠ এবং পেট ম্যাসেজ করুন.

নিয়মিত ব্যায়াম করা। যারা ব্যায়াম করেন তাদের মাসিকের ব্যথা কম থাকে।


আসসালামু আলাইকুম,আমাদের অনলাইন Shop www.mimshopbd.com এ আপনাকে স্বাগতম। আপনার পছন্দের পোডাক্ট অর্ডার করুন,আমরা ক্যাশঅন ডেলিভারিতে পোডাক্ট দিয়ে থাকি।পোডাক্ট হাতে পেয়ে বিল পরিশোধ করতে পারেন। বিস্তারিত জানতে what’sup 01706462833

mobile app:

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.bponi.site_mimshopbd&pli=1



Post Navi

Post a Comment

0 Comments